স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় কারাগারে থাকা যুবদল থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহিদ খাঁন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তার মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সোহরাব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তাঁর মায়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের দাফন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জাহিদ খাঁনের মা রাবেয়া খানম (৭৭) বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে কারাগারে ভেঙে পড়েন জাহিদ খাঁন। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে এবং জানাজা ও দাফনে অংশ নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসন তাকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মঞ্জুর করে।
প্যারোলে মুক্তির পর শনিবার সকাল ১১টায় পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গ্রামের বাড়িতে জানাজা ও দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ জাহিদ খাঁনকে নিশ্ছিদ্র পাহারায় ঘিরে রেখেছিল।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, জাহিদ খাঁন তার মায়ের জানাজায় অংশ নিতে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। জানাজা শেষে পুলিশ পাহারায় তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ জুন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও বাধার সম্মুখীন হন। ওইদিন দুপুরে জাফলং বাজার এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা উপদেষ্টাদের রাস্তা আটকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেয়। কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তায় শুয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে। অভিযেগ উঠে এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খাঁন। এর প্রেক্ষিতে ওই দিন রাতেই জাহিদ খাঁনকে দল থেকে বহিষ্কার করে যুবদল। পরে জাহিদ খান ও আজির উদ্দিসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও প্রায় ১৫০ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে মামলা করে পুলিশ।
Leave a Reply